আবজাব প্রলাপ ও আমি
মাঝে মাঝে ভাবি আমি তো সাধারন একজন , হাজার মানুষের মধ্যে আমার কোন বিশেষত নেই। হাজার মানুষ না ধরলাম শত মানুষ ধরলাম তারপর ভাবলাম নাহ্ আমার কোন বিশেষত নেই। আর দশ টা পাঁচ টা মানুষের মত আমি অতি সাধারন। নিজের অজান্তেই সিধান্ত নিলাম কিচ্ছু একটা করি সাধারন থেকে অসাধারন হতে । হয়ত আমার মত অনেকেই আছে ভিন্ন কিছু করার সাধারন থেকে অসাধারন হতে তবে আমার বিষয় টা অন্য রকম। যত টুকু পারি মানুষের ক্ষতি না করা এর মাধমে হলেও অল্প কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে নিজেকে বিশেষ ভাবে চেনা যাবে বলে আমি মনে করি।
আমি মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে আমি আতংকে থাকি, কারন হঠাৎ করে কিছু করে ফেলি কোন পরিকল্পনা ছাড়া। আমি যদি কোন কাজে করার জন্য আগে পরিকল্পনা করি সে কাজ কখন ই আমার করা হয় না এমন কি ঐ কাজ পরিকল্পনা করতে করতে কাজ করার এনার্জি হারিয়ে ফেলি। এবার বলি বিপরিত টা । কথা নেই বার্তা নেই হুট করে করে ফেলি বড় কোন কাজ । কোন ভাবে জগা খিচুরি করে কাজ টা শেষ করি । শেষ করার পর যখন ঐ কাজের মুল্যায়ন করি দেখি অনেক ছোট খাট অনেক ভুল যে ভুল গুলো একটু খেয়াল করলেই হত না। অথচ তাড়াহুড়া করে কাজটা শেষ করে ফেলি। আমি একই ভুল বার বার করি এবং প্রতিবারাই বলি এরপর থেকে আর এমন হবে না।
আমি খুব কাজ প্রিয় লোক যদিও আলসেমির জন্য সময়েরর কাজ সময়ে করতে পারি না। তবে এটা ঠিক প্রতিটা সময় যত টুকু সম্ভব কাজে লাগাতে চেষ্টা করি। তবে একসাথে অনেক গুলা কাজ শুরু করি যার ফলে কোন কাজ ই ভাল ভাবে শেষ হয় না। নিজের আলসেমির জন্য কত কিছু হারালাম যা না বললাম আজ । এমন কি নিজের খাওয়া দাওয়া ব্যপারে সব সময় থাকি উদাসিন। অর্থ্যাৎ বেচেঁ থাকতে হলে খেতে হবে তাই খেতাম। খাওয়া দাওয়া যে কত যে কঠিন কাজ যারা আমার চেয়ে আরো অলস তারা বেশি জানে।
আমার একটা টা দোষ হচ্ছে সহজে অন্যকে বিশ্বাস করা । যার সাথে কথা বলতে ভাল লাগে তাকে বিশ্বাস করে ফেলি সহজেই। তবে এর জন্য ঠকেছি কয়েক বার। যখন ধোকা খাই এবং হজম করি তারপর থেকে সিধান্ত নেই এরপর থেকে সহজে কাউকে বিশ্বাস করব না আগে তার সম্পর্কে জেনে নেব তারপর তাকে বিশ্বাস করব। মোট কথা আমি মানুষ চিনতে পারি না। তবে আস্তে আস্তে এই বিষয় গুলা আয়ত্ত্বে আনছি । যে সময় আয়ত্ত্বে আসবে হয়ত সে সময় এই জ্ঞান প্রয়োগ করার সময় বা সুযোগ কোনটাই থাকবে না।
সবার মত আমার জীবনে অনেক স্বপ্ন আছে । কার কাছ থেকে শুনছিলাম সৃষ্টি কর্তা সবার স্বপ্ন পুরন করে যাদি তা আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করা হয়। তবে তার জন্য শর্ত আছে যেমন ‘স্বপ্ন দেখতে অসুবিধে নেই তবে নিজ নিজ অবস্থান ও সামর্থ্যের মধ্যে থেকে স্বপ্ন দেখতে হবে। তা হলে তা বাস্তবায়ন হবার সম্ভাবনা থাকে এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য সেই অনুপাতে কাজ করতে হবে বলে আমি মনে করি।
যখন স্কুলে পড়তাম তখন স্বপ্ন দেখতাম আমি সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছি , মানে সাইকেল কেনার প্রচন্ড ইচ্ছা ছিল । পরে অবশ্য ৩য় শ্রেনীতে যখন ভর্তি হলাম তখন সাইকেল কিনলাম এবং সেই সাইকেল ৬স্ট শ্রেনী পর্যন্ত আমার কাজে লেগেছিল। আবার মাঝে একবার হঠাৎ করে সাইকেল টা চুরিও হয়ে গেছিল কিন্তু পরে আবার অনেক তদবিরের পর বের করলাম কারন খুব কষ্ট করে সাইকেল টা আমার কিনতে হয়েছিল। এখন অবশ্য সাইকেল আর আগের মত চালানোর সময় পাই না। কত যে খুশি হয়েছিলাম যখন যে দিন সাইকেল টা কিনেছিলাম। ঐ দিন রাত্রে আমার ঘুমই হয় নি সাইকেল কেনার আনন্দে। কত যায়গায় যেতাম সাইকেল চালিয়ে আজও মনে পড়ে সে সব দিনের কথা। এখন যদি কোন সাইকেল দেখি সুযোগ পেলেই একটা রেস দিয়া দিই। স্থান পরিবর্তনের জন্য সাইকেল টা চালানো হচ্ছে না।
যুগের সাথে তাল মেলাতে যেন আমি বেতাল হয়ে যাচ্ছি। যাদের সাথে মিশছি,চলছি তারা যেন সবাই আমার থেকে একধাপ এগিয়ে। আমি যতই তাদের কাছে এগিয়ে যাই তারা আমারে ছেড়ে আরেক ধাপ এগিয়ে যায় যার ফলে বরাবরই আমি তাদের পিছনে। ক্লিয়ারলি বিহাইন্ড।
মাঝে মঝে নিজের মধ্যে অনেক হতাশা কাজ করে। তবুও ভাবি একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে। সব চেয়ে খারাপ লাগে যখন নিকট কেউ আমাকে অবহেলা করে। পরে চিন্তা করে দেখি আসলে দোষ টা আমারই সবাই সবার স্বার্থ দেখবে নিজেকে নিয়ে ভাববে এটাই তো স্বাভাবিক এর জন্য মন খারাপ করার কী আছে ? তবে আফসোস লাগে আমি কেন পারি না তাদের মত হতে।
যখন ফূর্তী তে থাকি তখন মনে হয় দুনিয়াতে আমার মত সুখি আর কেউ নেই।
তবে আধুনিক যুগে সুখি হতে হলে তিনটা জিনিস অপরিহার্য যদিও আমার এগুলো কিছুই নেই তারপরেও আমি মাঝে মাঝে বেশ খুশি থাকি। আমার নেই কোন জাপানী বউ, নেই কোন ব্রিটিশ পাসপোর্ট, নেই কোন আমার আমারিকান ডলার। তারপরেও কেন এত সুখ ? কই রাখি ? এখন চিন্তা করছি সুখ আর দুঃখ কে একটা ব্যলেন্স করতে পারি যদি কেমন হয়। যখন বেশি খুশি থাকি তখন কিছু সুখ স্টক করে রেখি দিলাম, যখন মনের সার্ভার ডাউন থাকবে তখন স্টক থেকে নিয়ে আপদকালীন অবস্থা সামাল দিব। হয়ত এমন টা সত্যি হবে প্রযুক্তির কল্যানে কোন একদিন যখন আমি আমি থাকুম না ।
এবার বলি আমার একটা সুদূর প্রসারি একটা স্বপ্ন এর কথা যা আমি কয়েক বছর থেকে চিন্তা করছি মনে মনে প্ল্যান ও করছি হালকা হালকা । তবে অনিশ্চিত , নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করব সেই ইচ্ছা আছে।যদি সৃষ্টি কর্তা আমাকে তৌফিক দেয় তাহলে আমি এই চেষ্টা করতে পারব ইনস্আল্লাহ।
জন্ম নিয়েছি তাই মৃত্যু অনিবার্য। কখন কার কি ভাবে মৃত্যু কেউ জানেনা। আমি যখন থাকব না এই পৃথিবীতে তখন হয়ত আমার এই লেখা গুলি থাকবে। কেউ দেখবে, পড়বে বা কেউই পড়বে না শুধু শুধুই থেকে যাবে বা নষ্ট হয়ে যাবে এটাও অনিশ্চিত। কিছুটা দিন আমাকে আমার নিকট আত্নীয়রা মনে রাখবে কিন্তু একটা সময় ঠিক ই ভুলে যাবে কারন এটাই তো স্বাভাবিক। কারন আমি কোন অসাধারন কেউ নই। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় অসাধরন কেউ হয়ে যাই আবার ভাবি না সাধারন থাকাই ভালো । শুধু মৃত্যুর সময় যেন কালেমা পড়ে ঈমান এনে হাসি মুখে এই পৃথিবীতে থেকে যেতে পারি । শুধু আফসোস থেকে যাবে মানুষের জন্য কিছু না করতে পারা। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে আমি যেনে শুনে কারো কোন ক্ষতি করি নাই।
এবার শেষ করি ।
এই বিষয় নিয়ে লিখার সূত্র যে কথা থেকে এসেছে তাই তো বললাম না।
কারো কোন উপকার করতে হলে ১০০ বার চিন্তা করে উপকার করবেন আর এই বিষয় টা মাথায় রাখবেন যেন এই উপকার দ্বারা আপনার স্বার্থের যেন কোন ক্ষতি না হয়।
গায়ে পড়ে কার ও কোন উপকার করবেন না । অন্তত উপকার না করুন অন্তত কারো ক্ষতি করবেন না। এই ছোট জীবনে এই টুকু শিখলাম।
এবার একটা লাইন বলি,
বল বল আপনা বল…
জল জল গংগার জল
এটা আমার এক বন্ধু বলত……।
আসলেই তাই। সব সময় নিজের উপর নির্ভরশীল থাকার চেষ্টা করতে হবে। আমাকে এই কাজ টা ও করে দিবে এটা আরেকজনে করে দিবে। এই রকম আশা যারা করে আমি মনে করি তাদের জন্য অনেক ভোগান্তি আছে ।
আপনাকে ধন্যবাদ আমার আবজাব কথাবার্তা পড়ার জন্য জানি না পুরো টুকু পড়ছেন কি না ?
আপনি নিশ্চিত একজন ভালো মানুষ এ আমি বিশ্বাস করি। তাইতো যখনই মন খারাপ হয় বা একাকী থাকি তখনই আপনার লেখাগুলো পড়ি।
LikeLike
onek valo laglovai
LikeLike
thank you bhai
LikeLike
হিন্দি ভিডিও
LikeLike
পিশচার
LikeLike
hmm
LikeLike